নিজস্ব প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজার জেলার সদর থানার ৯নং আমতৈল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য ও উক্ত থানা বিএনপির অন্যতম সদস্য রফিকুল ইসলাম ময়নুল রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক একটি মামলায় আজ কোর্টে হাজিরা দিলে কোর্ট তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে যে, দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা ও সরকার-বিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতাসহ দলের সম্ভাব্য ভাঙ্গন ঠেকিয়ে অস্তিত্ব রক্ষায় নাকাল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)। তাই, দলটির অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মত প্রধানতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল’র নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলে নেতৃত্ব নিয়ে সংঘর্ষ ও সংঘাত এর ফলে দেখা দিয়েছে সংকট। দেশজুড়ে ছাত্রদলের কাউন্সিল ও সন্মেলন অথবা পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত না হওয়ায় যেমন দেখা দিচ্ছে নেতৃত্ব-জট, তেমনি দেখা যাচ্ছে নেতৃত্বহীনতা।
এদিকে দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় মৌলভীবাজারেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রচন্ড আকার ধারণ করেছে।
মৌলভীবাজার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দুই গ্রুপে বিভক্ত, একগ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বেগম খালেদা রব্বানী এবং অন্য গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমানের পুত্র নাসের রহমান।
উক্ত এলাকার বিশ্বস্ত এক সুত্রে জানা গেছে,গত ২০১৩ সালে মৌলভীবাজার বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিল, তারপর সেইসময় মৌলভীবাজার বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। সেসময় রফিকুল ইসলাম ময়নুলকে আসামী করে তার প্রতিপক্ষ নাসের রহমান গ্রুপ তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।
এতো দিন যাবত রফিকুল ইসলাম ময়নুল তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কার্যদিবসে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন; কিন্তু আজ ০৯.১১.২০১৫ ইং একটি মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে কোর্ট তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।